শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন
মোঃ তাইজুল ইসলাম সাগর:
মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাচ্ছে হিজলা উপজেলা! ; ভূমিদস্যু জাকিরের বিচার দাবি করছে ভুক্তভোগী একাধিক কৃষক পরিবার। শুধু তাই নয় মানচিত্র খেয়ে ফেলছে ভূমিদস্যু জাকির এমনই অভিযোগ এলাকাবাসীর।দিন রাত ২৪ ঘন্টায় জোরপূর্বক কেটে নিচ্ছে মেঘনা নদীর তীর ঘেঁষা শত শত একর কৃষি জমির মাটি ও বালু।
বরিশাল জেলার হিজলায় ভয়ংকর বালু খেকো ভূমিদস্যু জাকিরের অত্যাচারে অতিষ্ট স্থানীয় আদিবাসীরা। তার দস্যুতার দাপটে অসহায় প্রশাসন! দেশের একাধিক জাতীয় দৈনিক ও নিউজপোর্টালে সংবাদ প্রচারের পর বিষয়টি আমলে নিয়েছে গবেষণা ও পরিবীক্ষণ দপ্তরের উপপরিচালক মোঃ আখরুজ্জামান তালুকদার ।
এবিষয়ে দ্রুত তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে। উপপরিচালক (গবেষণা ও পরিবীক্ষণ) আখতারুজ্জামান তালুকদার স্বাক্ষরিত চিঠি।আর অসহায় কৃষকের আর্তনাদ পৌঁছায় না প্রশাসনের কর্তা ব্যক্তিদের কানে। শত শত লিখিত অভিযোগের পরও আরো ভয়ংকর হয়ে উঠেছে জাকির।
এ বালু খেকো জাকিরের ক্ষমতার দাপট আর অর্থের কাছে অসহায় হড়ে পড়েছে প্রশাসন ও স্থানীয়রা।বরিশার জেলার হিজলা উপজেলার মেঘনা নদীর তীরের মাটি যাচ্ছে অর্ধশত অবৈধ ইটের ভাটায়। ঘুমিয়ে রয়েছে বরিশাল পরিবেশ অধিদপ্তর। অসহায় কৃষকদের লিখিত অভিযোগের পরও তাদের ঘুম ভাঙ্গছেনা।বরিশাল-চাঁদপুর জেলার সীমান্তবর্তী অংশে মেঘনা নদীর তীর থেকে শত শত একর জমির মাটি কেটে নিচ্ছেন জাকির শিকদার।
এসব মাটি কাটায় স্প্রিট বোর্ডে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে জাকির বাহিনীর একাধিক লোক পাহাড়া দিতে দেখা যায়।জাকির সিকদার নেতৃত্বে, কোন প্রকার অনুমতি ছাড়াই অন্যের কৃষি জমি নষ্ট করে জোরপূর্বক ভাবে মাটি কেটে নিচ্ছে। এলাকাবাসী জানান, এতে করে একদিকে যেমন নদীর পাড় ভাঙছে, তেমনি ফসলি জমির ক্ষতি হচ্ছে। এরকম চলতে থাকলে না খেয়ে অসহায় কৃষকদের মরতে হবে ।
স্থানীয় একাধিক প্রভাবশালীর পকেটে যাচ্ছে এই মাটি বিক্রি করে লাখ লাখ টাকা। হুমকি ধমকি আর প্রাণ-নাশের ভয়ে কেউ জাকির বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না। কৃষকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি থেকে বালু কেটে নিয়ে যাচ্ছে তাদের ইট ভাটায়।হিজলা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ইসমাইল হোসেন মাস্টারের ভাই মো. মান্নান এই মাটি কেটে স্থানীয় মিলন চেয়ারম্যানের ইটভাটায় বিক্রি ছাত্রছায়ায় এই ফসলের জমি নষ্ট করছে বলে স্থানীয়রা দাবি করেছেন।
ভয়ংকর এ ভূমিদস্যু জাকির শিকদার কখনো নিজেকে পুলিশের সোর্স আবার কখনো কোস্টগার্ডের সোর্স হিসেবে পরিচয় দিয়ে এসব কাজ করে আসছে। জাকির শিকদার নিজেকে তবলীগ জমায়াতের দ্বীনদার ব্যক্তি পরিচয় দিয়ে অসহায় কৃষকদের সফলি জমির মাটি কেটে নিচ্ছে।